পঞ্চাশে ফ্যাশনধারা
-
জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবির অমর একুশের প্রভাতফেরির দৃশ্যটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের নিশ্চয়ই মনে আছে সেখানে অংশগ্রহণকারীদের পোশাকের কথা। বেশির ভাগ পুরুষের পরনে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা, বুকে কালো ব্যাজ। মেয়েদের পরনে সাদা শাড়ি কালো পাড়, কালো ব্লাউজ। এই সময়ে এসেও একুশে ফেব্রুয়ারিতে দেখা যায় সাদা–কালো পোশাক। তবে পোশাকের নকশায় যুক্ত হয়েছে বর্ণমালা, শহীদ মিনারসহ আরও নানা অনুষঙ্গ। একুশের চেতনা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাবধারা। পয়লা বৈশাখের সঙ্গে লাল-সাদা পোশাকের তেমন কোনো যোগসূত্র জোরালোভাবে পাওয়া যায় না। তারপরও লাল-সাদা পোশাক বেশি দেখা যায়। যদিও উৎসবধর্মী আরও রং এখন থাকে বৈশাখ বসনে। এই তো সামনেই ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের ২৬ মার্চ সম্পূর্ণই আলাদা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এ বছর। এদিনের পোশাক-আশাকে লাল-সবুজের ছোঁয়া থাকবে, এখন এটাই যেন ধ্রুব। দিবস ধরে বিশেষ পোশাক পরার বিষয়টি নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক আর এই শতকের গোড়ার সময় থেকে ধীরে ধীরে বিরাট ব্যাপ্তি পেয়েছে। বললে ভুল হবে না, সেই সময়টা তখন, যখন থেকে দেশে ফ্যাশন হাউস, ডিজাইনারদের পোশাক ক্রেতাদের টানতে থাকে। ফ্যাশন ডিজাইনার আর উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ফ্যাশনে দেশি উপাদান, উপকরণ, নকশা, নকশার মাধ্যমে লোকজ উপাদানের উপস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যাপকভাবেই।